রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ছোট গল্প আবার দেখা হবে ( পর্ব -১) ন্যান্সি দেওয়ান© ঊষা কবির ও সজীব রাজ, বিপরীত দুই মেরুর দুই বাসিন্দা কিন্তু তারা ভাল বন্ধু, ফেসবুকে তাদের পরিচয়। প্রায় এক বছর ধরে তারা কথা বলে শুধু মেসেঞ্জার ও ফোনে মাধ্যমে, শুধুমাত্র হাই-হ্যালোর মধ্যেই তারই তাদের কথা সীমাবন্ধ রেখেছে । ঊষা রাজের ছবি দেখেছে তার ফেসবুকে কিন্তু রাজ ঊষার এখনো অবধি কোন ছবি দেখেনি। ঊষার প্রোফাইল পিকচারে, শুধু গাছপালা, পাহাড় পর্বতের ছবি। রাজ অনেক বড় লোকের একমাত্র ছেলে তার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী। মা বিজনেস ম্যাগনেট । রাজ দার্জিলিং থেকে স্কুল , কলেজ পাস করে, একটি নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে, আর ঊষা ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে, ইংরেজি অনার্সের ছাত্রী। ঊষার কিছু স্বপ্ন আছে ,অনেক বড় হওয়া, সে তার পূরণ করতে চায়, সে আগে ভাগে রাজকে বলে দিয়েছে যে সে তার শুধু বন্ধ, অথচ রাজের সাথে তার বন্ধুত্ব একদম মানায় না । রাজ একটু ফান লভিং বয়, কোন বিষয় সে Seriously নেন না, বন্ধুদের নিয়ে Hangout , কনসার্ট পার্টি করতে পছন্দ সে করে। ওদিকে ঊষা খুব প্র্যাকটিক্যাল মেয়ে, টঙ দোকানের বসে চা খেতে, সেলাই, ঘর সাজানো, রান্না করতে পছন্দ করে , তার বাবার দীর্গদিন ব্যাংকে ম্যানেজার হিসাবে চাকুরী করেছে এখন অবসর নিয়েছেন,তার মা গৃহিণী,ঊষা তার বাবা মার “নয়নমনি”। তারা তাদের মেয়ে তিনজনকে শিক্ষিত করে তুলেছেন । ঊষারা আজিমপুর থাকে , ঊষা তার মা বাবার মতন ধার্মিক। মধবিত্ত পরিবার তাদের সুখের অভাব নেই তা তাদের পরিবারকে দেখলে বুঝা যায় ঊষারা তিন বোন, বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে , মেজ বোন বুয়েট থেকে আর্কিটেকচারে পাস করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে। ঊষা সবার ছোট। রাজ একদিন ঊষাকে বলল “ আর কতদিন এরকম ভাবে ফেসবুকে কথা বলবো “, তোমার সাথে, এক বছর হয়ে গেল। ঊষাঃ ধৈর্য ধরো, সবুরে কিন্তু মেওয়া ফলে ( ফোনে বলল ) রাজ ঃ আর কত ধৈর্য ধরবো । আমি নাই নাই করে কমপক্ষে ৭০ বার তোমার ছবি চেয়েছি তুমি কিন্তু দাওনি। তোমার সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ রাখাটাই উচিত না। আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে কি বলে জানো "তুমি বলে একটা অদ্ভুত মেয়ে" । ঊষাঃ তাই আচ্ছা, তারা কি তোমাকে খাওয়ার খরচ দেয়ে, না তোমাকে চালায়ে ? রাজঃ না । তুমি দেখা করবে কিনা বলো ? আমি লাস্ট টাইম তোমাকে বলছি। এতবার কোন মেয়ের পিছনে আমি কথা খরচ করিনি, এই বলে ফোন রেখে দিলো । ঊষার কথাটা বেশ আশ্চর্য লাগলো কেন রাজ তার সাথে দেখা করবার জন্য এত উঠে পরে লেগেছে মানছি এক বছর হয়ে গেছে মনে মনে বলেছে " আমার তার সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই " । আচ্ছা, দেখা করবো তার সাথে । রাজ ও ঊষার সাথে দেখা করবে । রাজঃফোনে ঊষাকে তার লোকেশন বলে দিলো, সে কোথায় থাকবে? ঊষা,বাস স্ট্যান্ড থেকে নেমে মাসকট প্লাজা এসে দাঁড়ালো তার সাথে তার দুই বান্ধুবি,সেখানকার লোকদের জিজ্ঞেস করলো ,গরিবে এ মেরাজ Avenue রোডেটি কোথায়? কথা মত সেই রোডে ঢুকলো, সেখানে দেখতে পেয়েলো, অনেকগুলো দোকান রাস্তার দুইপাশে হাতের ডান দিকে কিংফিশার রেস্টুরেন্ট, তার উপর আরেকটা রেস্টুরেন্ট । ঊষা ভালো করে রাজের কাছে থেকে জেনে নিয়ে একটি সাদা কাগজে পুরো ঠিকানাটা লিখে রেখে ছিল যাতে ঠিকানা খুজতে দেরি না হয় । ঊষা উত্তরায় খুব একটা আসেনি । কিংফিশার রেষ্টুরেন্টে পৌছে গেল তারা । ---চলবে--- ন্যান্সি দেওয়ান © ছোট গল্প আবার দেখা হবে ( পর্ব -২) ন্যান্সি দেওয়ান© ঊষা তার বান্ধবী লাবনী ও পাপিয়াকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লো এবং রাজের টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ালো। এই প্রথম রাজ তাকে, দেখলো সে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো , সে কল্পনা করেছিল , ঊষা অনেক স্মার্ট মেয়ে হবে কিন্তু তাকে সামনে থেকে দেখে সেই ধারণা বদলে গেল, সত্যিই বিপরীত মেরুর বাসিন্দা , কোন আধুনিকতার ছিটাফোটা নেই তার মধ্যে এবং তার বান্ধবীদের ঠিক এক অবস্থা । আমি এতদিন ধরে এই খ্যাতের সাথে কথা বলতাম ছিঃ ( রাজ ভাবছিলো ঊষাকে দেখার পর ) রাজের, মধ্যে একটা অপরাধ বোধ কাজ করছিল তখন ,ঊষা সকালের সাথে বেশ খুশি মনেই কথা বলছিল । ( রাজ ভাবছে )ভাগ্যিস এই মেয়ের প্রেমে পরিনি, অবশ্য ঊষা আমাকে আগে থেকে মানা করেছিলো এর জন্য ওকে ধন্যবাদ দিতে হয়......ফেইসবুকের বেশ মানান সই Educational পোস্ট দেয় দেখি তো, আর বাস্তবে মেয়েটি পুরোই আনস্মার্ট, শুধু লেখাপড়াই করছে !!! রেস্টুরেন্টে রাজের সাথে অন্য বন্ধু, বান্ধুবিরা সেখানে উপস্থিত ছিল । ঊষা ও তার বান্ধবীদের জামা কাপড় নিয়ে যে তারা নিজেরা হাসিঠ্যাটা করে কথা বলছিলো তা শুনে রাজ লাজ্জ পায় । ঊষা পরিষ্কার বুঝাতে পারলো যে সাথে তার দেখা করা ঠিক হয়েনি কারণ সে ও তার দুই বান্ধবীদের নিয়ে তামাশা করবেই বা কেন, কারণ তাদের পরনে ছিল সাধারন পোশাক , আর তাদের মাথায়ে ছিল হেজাব এবং তাদের হাতে ছিল গাউছিয়ায় মার্কেটে ফুটপাতের দোকানে রাখা ব্যাগ । রাজ বলল তোমাদের আসতে দেরি হচ্ছে বলে , আমি খাবার অর্ডার করে দিয়েছি , আমার দুই বান্ধবীর পছন্দ খাবার SeaFood ……… আচ্ছা এই খাবার , খেতে আপত্তি নেই তো ? লাবনী বলল SeaFood কি ধরনের ? রাজঃ I mean Baby Squid and Crab and with Chili Sauce. ঊষা বলে উঠলো না মানে, এগুলোতো খাওয়া ইসলামিক শরীইয়াতে খাওয়া জায়েজ না। পলিন ( রাজের বান্ধবী ) ঃ আমরা তো এগুলো খাই খুব Delicious হয় , ইতিমধ্যে খাবার চলে আসলো । ঊষা ও তার বান্ধবীরা কোন খাবার মুখে না তুললো Cold Drink খেলো , কিন্তু অন্য সবাই খেতে শুরু করল। রাজ ঃ তোমরা কোল্ড্রিংসের সাথে কিছু খাবে ? Pizza Or Anything Else ....Order করবো ……। ঊষা : না, ঠিক আছে। কিছুক্ষণ পর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে পাপিয়া বলল উঠলো “ছয়টা” বাজে । আচ্ছা তাহলে এখন আমরা চলি, ঊষা বলল রাজকে । রাজ ঃ তোমার সাথে আজকেই আমার প্রথম দেখা হয়েছে , এখনি চলে যাবে কেন ? আমি তোমাদের বাসায়ে ছেড়ে দিবো, Don’t Worry তা যতই রাত হোক । ঊষা ঃ না,না, আমরা বিকেলের পর সন্ধ্যায় বাসার বাহিরে , থাকি না আমরা বাসে চড়ে চলে যেতে পারবো । ---চলবে--- ন্যান্সি দেওয়ান © ছোট গল্প আবার দেখা হবে ( পর্ব -৩ ) ন্যান্সি দেওয়ান© রাকা (রাজের ফ্রেন্ড) রাজকে বলল ,তুমি না, খুব স্ট্যাটাস নিয়ে মাথা ঘামালো , তাহলে তুমি এ সব Less Quality মেয়েদের সাথে মিসছো কিভাবে? জুবায়ের ঃ আমি তো ভাবতেই পারছি না । ওরা তোমাকেই রীতিমতো,আমাদের সামনে অপমান করলো আর তুমি বসে বসে ওসব সহ্য করলে তুমি ওই মেয়েটার সাথে কথা বললে , একদম নিচু ক্লাসের হয়ে গেছো। আমরা তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ কন্টিনিউ করব না । রাজ ঃ আমি ওকে অনেক স্মার্ট মেয়ে ভাবতাম ,আমি Decide করেছি ওর সাথে আর ফ্রেন্ডশিপ কন্টিনিউ করব না। মানান : (রাজের বন্ধু) That's like Our good buddy is says…… ঊষার সাথে ফোনে কথা বলছে রাজ । আমি যা বলতে চাই , যদি তুমি কিছু মনে না করো। ঊষা ঃ না, না কিছু মনে করব কেন ? রাজ ঃ আসলে তুমি আমার টাইপের মেয়ে না। তুমি একবারে ওল্ড ফ্যাশন টাইপ, ঊষা ঃ আমি তোমাকে আগে বলেছিলাম , আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ে, তোমার সাথে আমার মানায় না । রাজ ঃ তাই জন্য, আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব রাখতে চাচ্ছি না। ঊষা ঃ ঠিক আছে , তুমি যা বলবে তাই হবে। ঊষার সাথে রাজ বন্ধুত্ব ভেঙে দিলো। রাজ তার সব Social Media ID থেকে ঊষাকে Unfriend করে এবং ব্লক দিয়ে দেয় । ঊষা কিন্তু ঠিকি রাজকে মনে করে তাই অনেক সময় ফোনের দিকে তাকায় কারণ যদি রাজের কোন খুদেবার্তা আসে , হাজার হলেও তো এক বছরে তাদের বন্ধুত্ব ছিল । বেশ কয়েক বছর পর একদিন এয়ারপোর্টে রাজ বসে আছে , লোকাল লাউঞ্জে আর ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে ঊষা আসলো । রাজ ঊষাকে দেখে রীতিমতো থতমত খেয়ে গেল এবং রাজ উঠে তার পিছুপিছু গেল। ঊষার পার্সোনাল সেক্রেটারী তার সাথে ছিল তার নাম মুনিরা । ঊষাকে অনেক ডিফারেন্ট লাগছে মনে হচ্ছিল না , সেই আগের ঊষা, তার মধ্যে এখন অনেক তফাত । ঊষার পরনে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে , মাথায় কোন হেজাব নেই তার চোখে চশমা তা বেশ দামি, তাকে খুব সুন্দর লাগছিল । রাজ ঊষার কাছে যেয়ে দাঁড়ালো আর বলে উঠলো “ Hi “ঊষা। আমাকে চিনতে পেরেছ ? ঊষা বলে উঠলো Yes, how are you? রাজ: আমি মোটেও ভালো নেই। ঊষা তার পার্সোনাল সেক্রেটারিকে তখন যেতে বলল , রাজ ঃ আমার মা মারা গেছে ,আমার বাবা এখন প্যারালাইস। আমাদের বিজনেস সব শেষ হয়ে গেছে । ঊষা ঃ ও আচ্ছা , রাজ ঊষার মাঝে কোনো রিয়্যাকশন দেখতে পেয়ে পাইনি । রাজ ঃ তুমি কোথায় যাচ্ছ? ঊষা ঃ যশোর , রাজ ঃকেন ? ঊষা ঃ আমি একটি ইংরেজি ম্যাগাজিনের জার্নালিস্ট ,সেখানকার কিছু ঐতিহ্যর বাহি জায়গার উপরে একটা কাভার স্টরি করবো তাই যাচ্ছি আর আমার শ্বশুরবাড়ি যশোর, খুলনাতে। ঊষা রাজের একটু জিজ্ঞাসা করল না যে সে Airport এসেছে এবং কোথায় যাচ্ছে ? রাজ বলল তোমার সাথে আমার সেদিন ওর রকম করা উচিৎ হয়নি , আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি । ঊষাঃ Past is Past. রাজের তার মুখটা দেখে মনে হয়েছে , সে ( মনে মনে ) খুশি হয়নি। রাজ : তোমার স্বামী কি করে? ঊষা : একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে,বড় পোস্টে আছে। রাজ : তোমার স্বামীকে দেখছি না ? ঊষা : Actually ওর শুটিংয়ে আছে। আচ্ছা আমি তাহলে আমার লাউঞ্জে যাই । রাজ : Okay রাজ লোকাল লাউঞ্জে যে বসে পড়লো আর মনে মনে ভাবলো ” ইস” আমারতো কিছু টাকার প্রয়োজন ছিল আমি ঊষাকে বলতেই পারতাম । এত বড়লোক হয়ে গেছো ঊষা । ---চলবে--- ন্যান্সি দেওয়ান © ছোট গল্প আবার দেখা হবে ( পর্ব -৪ ) ন্যান্সি দেওয়ান© এয়ারবাস চলে এলো । সব যাত্রীরা এয়ার বাসে উঠছে, তারপর বসে পড়ল যার যার সিটে। ঊষা তার স্বামিকে ফোন দিল,কিন্তু সেই মুহূর্তে, তার স্বামির ফোনটি বন্ধ পেল । মুনিরা বলল ঊষাকে আপু একটা “এসএমএস “ পাঠিয়ে দিন । আপনি একটু আগে আপনি যখন ভিআইপি লাউঞ্জে বসে ছিলেন তখন দুল্লাভাইয়ের সাথে কথা বলছেন । ঊষা ঃ যা ভুলে গেছি । তোমার ভাইয়া শুটিং চলছে তো । আচ্ছা, তাকে এসএমএস করে দেই । ঊষা এসএমএস করে দিলো তার স্বামীকে। “মুরাদ “ আমি এখন এয়ারবাস ,এখনই প্লেনে উঠবো। যশোরে যেযে বাসায় গিয়ে , ফোন দিব । ( এরোপ্লেন এর ভিতরে ) এয়ার হোস্টেস সব প্যাসেঞ্জারদের সিট বেল্ট, বেধে ফেলতে বলল । মুনিরা কোন ভাবেই তার সিটবেল্ট বাঁধতে পারছিলো না। কারন মুনিরা এই প্রথমে প্লেনে বসেছে । মুনিরা হল মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে , পুরোটা সংসার তার উপর নির্ভর । ছোট বোন কলেজে পড়ে । ঊষা তাকে খুব পছন্দ করে এবং তাকে তার ছোট বোনের মত দেখে। একদিন ঊষারও মুনিরার পরিস্থিতিতে ছিল। এখন ঊষা সুপরিচিত নামিদামি জার্নালিস্ট ,কিন্তু সে তার অতীত ভুলেনি , পিছনের কথা মনে পরলে তার ভুল গুলো বুঝতে পেরে আজ সে Established, তার স্বামী খুব ভালো মানুষ , প্রেম করেই তাদের বিয়ে তার স্বামী তাকে সব ব্যাপারে উৎসাহ দেয় , এমন কি তার স্বামী পাশে থাকতে চেষ্টা করে সব সময় , এমন স্বামী পাওয়াটাও কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। রানওয়ে থেকে প্লেন্টি আকাশে উঠতে গেল ঝাকুনি । ( সন সন …………শব্দ ) মুনিরা ভয় পেয়ে বলে উঠলো , অসম্ভব একটা Trill কাজ করছে আপু । অনুভব করলাম । ঊষা ঃ আমিও করেছিলাম প্রথম প্রথম । মুনিরা প্লেনের Window Seat এ বসে বাহিরে তাকিয়ে দেখছে অবাক হয়ে, ঘরবাড়ি গুলো অনেক ছোট ছোট, মনে হচ্ছিল পিঁপড়ের মাঠ ও রাস্তা ঘাট । প্লেনটি কখনো কখনো মেঘের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। সিটের সামনে বাধা মনিটরে দেখা যাচ্ছে মাত্র বুড়িগঙ্গা পার হয়েছে প্লেনটি, ঊষার একটা গল্প মনে পড়ে গেল। সেই বিখ্যাত কবি শেখ সাদীর পোশাক আবৃত যে গল্পখানা । দুনিয়াতে এই পোশাক কদর বোধায় বেশি , আভিজাত্যর মূল্য অনেকটা বিরাজমান কিন্তু মানুষের ভাবসাব নিম্নতর । নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ঊষা মনে মনে হাসলো “রাজের সাথে আমার জানি আর না দেখা হয় “ । এরকম উৎশৃংখল , অহংকারী মানুশ গুলোর কাছ থেকে দূরে থাকাটা হাজার ভালো। যাদের কোন ব্যক্তিত্ব নেই তারা কখনোই সমাজে ভালো মানুষ হতে পারে না কিংবা তাদের ধারা হয়ে না কোন বন্ধুক্ত । সমাপ্তি -------

সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

Devil Father – ( পর্ব -৩ ) ন্যান্সি দেওয়ান © ( কোর্ট রুম- এডভোকেট গণ ) এডভোকেট নাফিসা জামান এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজুল্লাহ। কাগজ পত্র ঠিক করছে কারণ অপরাধী অ্যাভন চৌধুরী অভিভাবকের স্বাক্ষর নেয়ার জন্য। কেয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল। এবং সংশোধনাগার তো ও বটে। এডভোকেট মাহফুজুল্লাহ স্যার, এ এ – এখানে স্বাক্ষর করুন। শাহাদাত চৌধুরীর বউ (রুনা চৌধুরী ) কেঁদে ফেললেন। তার শাড়ীর আঁচল দিয়ে চোখ ঢেকে ফেললেন তার চোখ, যাতে মানুষ না বুঝে পারে কিন্তু হাজার হলেও চোখের পানি ঠিক বুঝতে পারা যায়ে । লুকিয়ে রাখা যায না । জেলখানার মধ্যে অ্যাভন কাত, হয়ে শুয়ে আছে .........। গায়ের শার্টটি, খুলে গোল করে, মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে আছে । পুলিশ সেন্ট্রি অ্যাভন সাহেব উঠেন ঃ চৌদ্দশিকের মধ্যে থাকা লাগব না, দুইদিন তো জেলের ভাত খাইলেন, কেমন লাগলো? এসি ছাড়া ঘর । অ্যাভনকে অন্য আসামি ধাক্কা দিয়ে উঠলো । সেন্ট্রি ঃ উঠেন উঠেন অ্যাভন সাহেব, টিকটক স্টার। জেলখানার খাবারটা কেমন লাগলো ভাই? অ্যাভন, তার গায়ের নীল রঙের Demin shirt টি ঝেড়ে উঠে,অভিনব কায়দায় পড়ে, দাঁড়ালো এবং অ্যাভন বলল : জেলখানার খাবার অমৃত শুধু একটু আতিথিয়তা ছিল অল্প। তাও চলে। সেন্ট্রি ,আপনি হইলেন আমাদের বড় sir এর ছেলে অর্থাৎ সাবেগ D.I.G Sir ছেলে। Tiktok, Likee star. বিখ্যাত হওয়ার জন্য কি এসব হুদাই ভিডিও করাই অরজকতা সৃষ্টি করবেন কেন ?দেশের জন্য কিছু করেন সমাজের জন্য কিছু ভালো কাজ করেন । অ্যাভন : দূর ছাই, আমি আবার সমাজের জন্য কি করব? আমারে নিয়ে কেউ ব্যস্ত থাকে না, আমি সমাজের জন্য কিছু করব না । পুলিশ সেন্ট্রি জেলের লক খুলতে খুলতে বলল : যেখানে যাচ্ছেন, ভালোই থাকবেন। ( থানার সামনে ) টিভি ক্যামেরা ,টিভি নিউজ রিপোর্টার। জার্নালিস্ট ,এবং সাধারন জনগন দাঁড়িয়ে আছে। থানার সামনে মানুষের সামনে প্রচন্ড ভিড়। Devil Father – ( পর্ব -৩ ) ন্যান্সি দেওয়ান ©
ইন্সপেক্টর রনি আপনি টিভি চ্যানেল রিপোর্টারদের সামলান । ইন্সপেক্টর রনি বলেন,yes sir আমি দেখছি । অ্যাভনকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অ্যাভন তার হাত তার হাত উঁচু করে V sign দেখাছে V sign মানে victory । থানার সামনে মানুষের ভিড় এবং হসপিটালের অ্যাম্বুলেন্স । Ruposhi Bangla Tv Channel ষ্টুডিও থেকে News Presenter Amrin সরাসরি যুক্ত হলেন । news reporter Imran সেখানে তাদের রিপোর্টার ইমরান রয়েছেন। ষ্টুডিও থেকে News Presenter আমরিন বলেন ইমরান , ইমরান এখন ওখানের বর্তমান অবস্থার কেমন ? এই মাত্র তাকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেয়ার স্পেশালিজেড হাসপাতাল যেখানে মানুসিক এবং মাদকাসক্ত রোগীদের Treatment করা হয় . ……….. অ্যাভনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য থানার করিডোরের নিয়ে আসলো সেখানে তার বাবা-মা দাঁড়িয়েছিল, মায়ের চোখে পানি এবং তার বাবা অসহায ভাবে তাকিয়ে ছিল অ্যাভনের দিকে ।অ্যাভন তার বাবা মার দিকে তাকিয়ে একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিল। হাহাহাহাহাহাহা । পুলিশ অফিসার তৌফিক ,রেগে বলল আপনি গাড়িতে উঠুন । গাড়ি ছেড়ে দিল। অ্যাম্বুলেন্স চলে যাচ্ছে । এবং চলে গেল। থানার প্রধান ইন্সপেক্টর ইন্টারভিউ নিলেও জার্নালিস্ট এবং টিভি চ্যানেলগুলোর রিপোর্টার এবং তার সাথে অ্যাভনের বাবার ইন্টারভিউ নিল। মিরপুর ১৪ ,অবস্থিত বিরাট বড় স্পেশালাইজড হসপিটাল। এই হাসপাতলে। Advance Treatment করা হয় special case গুলো এই হাসপাতলে deal করে । এর জন্যে এই হাসপাতলের ডাক্তার এপোলো হাসপাতাল থেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার critical case handle করা হয় । ( চলবে ) ছবি ঃ সংগৃহীত ন্যান্সি দেওয়ান ©
আমাদের সবার প্রিয় নাটক ইতিমধ্যে হয়ে গেছে কারণ এই নাটকের মাধ্যমে শিক্ষণীয় কিছু বিষয় যা অচিরে মানুষকে মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে, এতো সুন্দর নায়ক, নায়িকা, এই প্রথম আবির্ভাব ঘটেছে কোনো সিরিয়েলে । আমরা সবাই এখন Automatic হয়ে গেছি, আমাদের মাঝে সেই মমতা মাখা আদরে পরশ হারিয়ে যাচ্ছে । টাকা-পয়সা বা আভিজাত্য সব কিছু না ...... শান্তি হল আসল " ভালবাসা " সবাইকে কাছে নিয়ে নিজের করে পাওয়া, আশা, আন্তরিকতা ।
কমলে ঃ ন্যান্সি দেওয়ান © ছবি : সংগৃহীত
গৃহপরিচালিকাদের উপরে অনেক অন্যায় অবিচার চলে কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না যদিও বা কেউ প্রতিবাদ করতে চাই, তখন অন্যরাও বলে কেন? সেই ব্যাক্তিটি আগ বাড়িয়ে গিয়ে গৃহপরিচারিকাদের জন্য কথা বলছে । আচ্ছা, তারা কি মানুষ না? তারাও তো মানুষ। তাহলে একজন ক্রীতদাস এবং গৃহপরিচালিকাদের মধ্যে তফাৎ কি রইলো? । গৃহপরিচালকা ও গৃহপরিচালিকারা পেটের দায়ে মানুষের বাসায় কাজ করতে আসে । --- সামিরা --- নিজের লেখা।
ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

The World's Best Data-Driven Website Marketing Tools - AddThis

The World's Best Data-Driven Website Marketing Tools - AddThis: Use smart and beautiful website marketing tools that allow you to personalize your visitors' experience and increase conversions.

সাদা-কালো

কোনটা সাদা, কোনটা কালো বোঝা ভারী দায়ে হরেক রকম, মানুষ দেখি এই সুন্দর দুনিয়ায় । এসেছিলাম একা যেতেই হবে একা শূন্য হাতে এক কাপড়ে দূরে বার্তা সব পিছুটান ফেলে রইবো পরে, মাটির ঘরে । "আল্লাহতালা" নাম বলে যাও সবে তিনি তো করবেন মোদের পার । ডানদিকে বেহেস্ত আর বামদিকে দোজখ , জিকির করো, পড়ো নামাজ রোজা রাখো । নবীজির নাম স্মরণ করো নামাজ পর তোমরা সবে সবে সেজদা করো দিনে রাতে । সাদা মনের মানুষ গুলো চেয়ে দেখো তাদের মনে নেইকো কোন কালো আল্লাহপাকের কাছে মাফ চাও ত্যাগ করো যত প্রকার কালো, নিজের পথ, নিজেই গড়ি । সুখে থাকি এক সাথে বাঁচিমরি রাখো ঈমান তোমার হাতে, ভালো কাজের মূল্য বিশাল স্রষ্টা হবেন তাদের উপর খুশি লেখা আছে ,এই তো বিধির বিধান ।